পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিষদ ও ম্যানট্রাস্ট প্রোপার্টিজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম করে দ্বৈত ঋণ অনুমোদন ও ঋণ খেলাপি হওয়ার অভিযোগে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এফএএস ফাইন্যান্সের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিষদ এবং মেসার্স ম্যানট্রাস্ট প্রোপার্টিজ (প্রাইভেট) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরস্পর যোগসাজশে নিয়ম না মেনে একই স্থাবর সম্পদের বিপরীতে ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির আড়ালে একই স্থাবর সম্পদের বিপরীতে দুইবার ঋণ অনুমোদন করে বিতরণ করেন। এতে বিতরণ করা ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার ঋণ বর্তমানে সুদাসলে ৬ কোটি ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই অর্থ খেলাপি হওয়ার অপরাধে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, ম্যানট্রাস্ট প্রোপার্টিজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম, এফএএস ফাইন্যান্স এর সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার নিয়াজ আহম্মেদ ফারুকী, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ হাফিজ, সাবেক পরিচালক উজ্জ্বল কুমার নন্দী, মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং মো. সিদ্দিকুর রহমান।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় জালিয়াতির অন্যতম হোতা প্রশান্ত কুমার হালদারের নেতৃত্বে বেসরকারি খাতের এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে। এসব ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে দুদক।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.