দেশের বাজারে স্মারক মুদ্রার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি স্মারক রৌপ্যমুদ্রার (বাক্সসহ) দাম ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই মুদ্রার দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিল। অর্থাৎ অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিটি রৌপ্যমুদ্রার দাম আরও আড়াই হাজার টাকা বেড়েছে।
অন্যদিকে স্মারক স্বর্ণমুদ্রার ক্ষেত্রেও ১২ সেপ্টেম্বর দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। প্রতিটির দাম তখন ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক বছরের ব্যবধানে এই মুদ্রার দাম বেড়েছে ৫৫ হাজার টাকা। যদিও আজকের বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়ানোর কথা উল্লেখ নেই, তবে বাজারে স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকায় শিগগিরই এ ক্ষেত্রেও নতুন সমন্বয় আসতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
কেন দাম বাড়ছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোয় স্থানীয় বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এ সমন্বয় করা হচ্ছে।
বর্তমানে, দেশের বাজারে প্রতিভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতিভরি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৫ টাকা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যকে এখন ‘সেফ হেভেন’ সম্পদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৈশ্বিক মন্দাভাব, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ডলারের অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা মূল্যবান ধাতুর দিকে ঝুঁকছেন। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশসহ সব দেশের বাজারেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মারক মুদ্রা সাধারণত সংগ্রাহক ও বিশেষ উপহার হিসেবে জনপ্রিয়। তবে সাম্প্রতিক ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতা ও সংগ্রাহকদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করছে। আবার অনেকের মতে, দাম বাড়ায় এগুলো বিনিয়োগ হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারাবাহিক সমন্বয় ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। ফলে এ খাতের সংগ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী দিনগুলোতে নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ দুই-ই তৈরি হবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.