স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থেকে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতারণামূলক ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে ব্যাংকটি।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন করে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং মূল কারণ উদ্ঘাটনের জন্য ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছেন।
এ ছাড়া গ্রাহকদের অসুবিধা এড়াতে ক্ষতিগ্রস্ত কার্ডগুলোতে ইতিমধ্যে অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
এই প্রতারণামূলক ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম অনলাইনে ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৫৪ গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড থেকে ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র’ শিরোনামের সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আজ শনিবার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে সই করেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের কান্ট্রি হেড বিটপী দাশ চৌধুরী।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলতি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্রেডিট কার্ড থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে একাধিক ওয়ালেটে প্রতারণামূলক লেনদেনের কিছু অভিযোগ এসেছে। যেখানে কিছু গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ব্যবহার করে কার্ড থেকে প্রতারণামূলক লেনদেন হয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংক।’
বিবৃতিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পর্যবেক্ষক দল এ–সংক্রান্ত প্রক্রিয়া ও সিস্টেম পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় পরিদর্শন করছে। আমরা ইতিমধ্যে ঘটনাটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জানিয়েছি। গ্রাহকদের অসুবিধা এড়াতে ক্ষতিগ্রস্ত কার্ডগুলোতে ওই অর্থ ইতিমধ্যেই ফেরত দিয়েছি। তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে ঘটনাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ও লেনদেন প্রক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে দেখা গেছে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই। ইন্টারনেট ব্যাংকিং পোর্টাল এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড মোবাইল অ্যাপ সর্বাধিক নিরাপদ, সুরক্ষিত ও এনক্রিপ্টেড পেমেন্ট চ্যানেল হিসেবে গ্রাহকসেবা দিয়ে যাচ্ছে। অ্যাপ বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকেরা সহজেই মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) টাকা স্থানান্তর করতে পারেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাময়িকভাবে এমএফএস পোর্টাল বা অ্যাপ-এ ‘অ্যাড মানি’ ফিচার স্থগিত করা হয়েছে যেন প্রতারক বাইরে থেকে গ্রাহকদের ক্ষতি করতে না পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইতিমধ্যে নেওয়া পদক্ষেপগুলো নিয়ে কয়েকজন গ্রাহক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ক্ষতিগ্রস্ত হাসিন হায়দার তাঁর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া শেয়ার করেছেন। আমাদের প্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের মানুষের উন্নতির অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে গত ১২০ বছর ধরে আমরা গ্রাহকদের পাশে আছি। তাদের আর্থিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.