বাংলাদেশ পোশাক খাত টেকসই উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে: সুইস রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত টেকসই উন্নয়নের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো র‌্যাংগলি।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) টিম গ্রুপের গ্রিন ফ্যাক্টরি ফোর এ ইয়ান ডাইয়িং পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত রেটো র‌্যাংগলি বলেন, ‘এই কারখানা পরিদর্শন করতে পেরে আমি খুব খুশি। এটি অত্যন্ত আধুনিক একটি প্রতিষ্ঠান এবং যা দেখেছি তাতে আমি সত্যিই মুগ্ধ। তাছাড়া এটি সুইস ব্র্যান্ডের জন্য উৎপাদন করছে, সুতরাং কর্মপরিবেশ কেমন, তা জানা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও কর্মপরিবেশে অর্জিত উন্নতির প্রশংসা করেন এবং সেগুলো আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের জন্য কোম্পানির উচ্চাভিলাষী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যেরও প্রশংসা করে এটিকে ‘ব্যবসায়িক সাফল্য ও টেকসই উন্নয়ন একসঙ্গে সম্ভব করার উৎকৃষ্ট উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

পরিদর্শনকালে টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নাকিব বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে তা দূর করাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।

উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নাকিব বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রদূতকে খাতের বাস্তব চিত্র দেখাতে চেয়েছি- কর্মপরিবেশ থেকে শুরু করে শ্রমিক কল্যাণ ও পণ্যের মান পর্যন্ত। তিনি খুশি হয়েছেন এবং অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার অনুমতি চেয়েছেন, যা দেশের ব্র্যান্ড ইমেজ উন্নত করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের চীনা আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নাকিব বলেন, ‘চীনা সরবরাহকারীরা ইউরোপীয় বাজারে মনোযোগ বাড়াতে পারে, এটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। তবে ইউরোপীয় ক্রেতারা ধীরে ধীরে চীন থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন, যা বাংলাদেশের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।’

তিনি দীর্ঘমেয়াদি গ্রাহক সম্পর্কের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, আমাদের কোনো গ্রাহকসেবা, ডেলিভারি বা মানের কারণে আমাদের ছেড়ে যায়নি। সময়মতো মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করাই আমাদের শক্তি।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.