রপ্তানি আয়ের অগ্রিম অর্থ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার বাংলাদেশ ব্যাংকের

রপ্তানিকারকদের নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি ও রপ্তানি বাণিজ্যে গতি আনতে রপ্তানি আয়ের অগ্রিম অর্থ সংরক্ষণের নিয়ম শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম প্রাপ্ত রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের এত দিনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকদের অর্থ ব্যবস্থাপনা সহজ হবে, উৎপাদন কার্যক্রমে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যাবে এবং কাঁচামাল সংগ্রহে সুবিধা হবে। তবে নতুন নির্দেশনায় প্রকৃত লেনদেন নিশ্চিত করতে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, রপ্তানিকারকের অবশ্যই একটি বৈধ ও নিশ্চিত এলসি বা রপ্তানি চুক্তি থাকতে হবে, যার ভিত্তিতে পণ্য রপ্তানি করা হবে। রপ্তানিকারকের পূর্ববর্তী রপ্তানি কার্যক্রম সন্তোষজনক হতে হবে এবং অর্ডার বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট সক্ষমতা থাকতে হবে। পাশাপাশি, প্রাপ্ত অগ্রিম অর্থ হতে হবে সুদমুক্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকিং তদারকির মাধ্যমে এই নতুন শিথিলতাটি যথাযথভাবে কার্যকর করা হবে এবং সব ধরনের রপ্তানি কার্যক্রম নিয়মনীতি মেনে পরিচালিত হবে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.