স্কয়ার গ্রুপের ভ্রাম্যমাণ মিনি হাসপাতালে বিনামূল্যে মিলবে চিকিৎসাসেবা

ঝকঝকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিনিবাসে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট আকারের একটি হাসপাতাল। এতে রোগীর জন্য রয়েছে একটি বিছানা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, চোখ পরীক্ষার বিশেষ যন্ত্র, অক্ষর ও সংকেত বোর্ড, কিছু পরীক্ষার সরঞ্জাম এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা।

স্বল্প আয়ের মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে এই ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ছুটে চলবে দেশের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় এবং পরবর্তীতে শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের এই সেবার আওতায় আনা হবে। শুরুতে একটি মিনিবাস দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও ভবিষ্যতে এর সংখ্যা বাড়বে।

স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘ছাপ্পান্ন হাজার স্কয়ার মাইল জুড়ে’ শীর্ষক এই অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে স্কয়ার গ্রুপ। এটি বাস্তবায়ন করবে অনিতা অ্যান্ড স্যামসন ফাউন্ডেশন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্যামসন এইচ চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে সেন্ট মেরিজ ক্যাথেড্রালে এই উদ্যোগের উদ্বোধন করবেন তাঁর চার সন্তান—চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান রত্না পাত্র, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এবং পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

ঢাকার গুলশান-১-এ স্যামসন সেন্টারে আজ বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্যামসন এইচ চৌধুরীর আদর্শ ও চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা এ সেবার উদ্যোগ নিয়েছি। তাঁর স্বপ্ন ছিল স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এই কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক চিকিৎসা, মা ও শিশুর যত্ন, চোখের চিকিৎসা, চশমা বিতরণ, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ, এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করা হবে। গ্রামীণ ও শ্রমজীবী মানুষকে সেবার আওতায় আনতে এই মিনি হাসপাতাল কারখানাগুলোতেও যাবে।

তপন চৌধুরী জানান, ব্র্যাক-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, গার্মেন্টসের সেলাই বিভাগের শ্রমিকদের ৩০-৩৫ বছর বয়সেই চোখে সমস্যা দেখা দেয়, অথচ তারা তা বুঝতে পারেন না। এ কারণে চোখের সেবা ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মিনি হাসপাতালটি ঘুরে দেখানো হয়। এতে থাকা চিকিৎসক রুবায়েত আদনান বলেন, ‘একটি পরীক্ষামূলক সেবায় আমরা এক বেলায় ২৫০-৩০০ রোগীকে সেবা দিতে পেরেছি।’

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.