কারখানা লে-অফের খবরে বড় পতন হামিদ ফেব্রিকসে

পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতের কোম্পানি হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেডের শেয়ারে বড় দর পতন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটি শেয়ারের ১০ শতাংশ দর হারিয়েছে, যা সার্কিটব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কোম্পানিটির কারখানা তথা উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখার খবরের প্রভাব পড়েছে এর শেয়ারের মূল্যে। গতকাল কোম্পানিটি জানিয়েছে, তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে তারা তাদের কারখানা লে-অফ (বন্ধ) ঘোষণা করেছে। স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত কোম্পানির খবর অনুসারে, কোম্পানিটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য লে-আফ চলবে।

আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হামিদ ফেব্রিকসের ২ লাখ ২১ হাজার ১৪৯টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মূল্য ১৬ লাখ টাকা। ডিএসইতে আজ শেয়ারটির সর্বোচ্চ দাম ছিল ৮ টাকা আর সর্বনিম্ন দাম ৭ টাকা ২০ পয়সা। গতকাল এই শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৮ টাকা। শেয়ারটির দাম সার্কিটব্রেকার পর্যন্ত কমেছে। বর্তমান সার্কিটব্রেকার (শেয়ারের দাম হ্রাস-বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা) অনুসারে, এই রেঞ্জের শেয়ারের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারে। এর বেশি পরিবর্তন ট্রেডিং সিস্টেমে গ্রহণযোগ্য হয় না। সার্কিটব্রেকার না থাকলে হয়তো এই শেয়ারের দাম আরও কমে যেতে পারতো।

মাহিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান হামিদ ফেব্রিকস ২০১৪ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩৫ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে। আইপিও থেকে কোম্পানিটির সংগ্রহ করা অর্থের পরিমাণ ১০৫ কোটি টাকা। উচ্চ প্রিমিয়ামে বাজারে আসা এ কোম্পানি কখনোই তার বিনিয়োগকারী তথা শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি সুবিচার করেনি। তালিকাভুক্তির কয়েক বছর পর থেকেই এর পারফরম্যান্স নিম্নমুখী হতে থাকে। গত তিন বছরে কোম্পানিটি মাত্র ৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে।

সর্বশেষ অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকের পর হামিদ ফেব্রিকস কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৮৬ পয়সা করে লোকসান দিয়েছে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.