দেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি সম্প্রতি মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক করার লক্ষ্যে “তফসিলভুক্ত ব্যাংকের শাখা কর্তৃক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক ধারাবাহিক অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রধান কার্যালয়ের সমন্বয়ে ও ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার সহযোগিতায় দেশব্যাপী জুলাই এবং আগস্ট ২০২৫ মাসে প্রতি শনিবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ২ হাজার ৪০০ এর অধিক অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের জন্য ছিল শিক্ষণীয় ও দিকনির্দেশনামূলক।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ও রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ। সম্মানিত পারসনরা হলেন অতিরিক্ত পরিচালক (ক্যাশ) সুকুমার সরকার, অতিরিক্ত পরিচালক (কারেন্সি) মোঃ মোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মনজুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক এ.কে.এম আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক ব্রজেন্দ্র নাথ রায়, যুগ্ম পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, উপ-পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন, সহকারী পরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান, পরিচালক (ব্যাংকিং) স্বরূপ কুমার চৌধুরী এবং পরিচালক রথীন কুমার পাল।
তারা অংশগ্রহণকারীদের নোট নীতিমালা, নোট রিফান্ড রেগুলেশন, নোট সর্টিং, জাল নোট শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ, এবং আধুনিক রিপোর্টিং প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান উইলিয়াম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন কর্মশালা গুলোয়। তাঁর বক্তব্যে তিনি ব্যাংকের মুদ্রা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং নগদ ব্যবস্থাপনাকে আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালায় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণকারীদের নগদ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক কৌশল, জাল নোট শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ, এবং কার্যকর রিপোর্টিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান প্রদান।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আশা করেন, এই ধরনের ধারাবাহিক কর্মশালার মাধ্যমে ব্যাংকের নগদ ব্যবস্থাপনায় গুণগত উন্নয়ন ঘটবে, যার ফলে ব্যাংকিং কার্যক্রম হবে আরও নিরাপদ, দ্রুত ও স্বচ্ছ।
আইএফআইসি ব্যাংকের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে নয়, বরং দেশের ব্যাংকিং খাতের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে নগদ ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ ও কার্যকর করার প্রচেষ্টা এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
অর্থসূচক/
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.