আজ সকাল থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৪৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪২ জন দুর্ভিক্ষ পীড়িত গাজা শহরে মারা গেছেন।
ফিলিস্তিনের চিকিৎসা সূত্রগুলো এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। গাজা এখন এমন এক শহর যেখানে ক্ষুধা, ধ্বংস এবং হত্যাকাণ্ডের মতো বিচিত্র সংকট তীব্রতর হয়েছে। দখলদাররা এই শহরটিকে সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করার চেষ্টা করছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী রোববার সকাল থেকে গাজা শহরে ব্যাপক বিমান হামলা এবং কামান হামলা চালাচ্ছে। তাদের হামলায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন এবং অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ড্রোনগুলো পূর্ব গাজার আল-তুফাহ পাড়ায় “আল-আইবাকি” মসজিদের আশেপাশের ফিলিস্তিনি বাড়িগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। একই সময়ে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা শহরের বেশ কয়েকটি পাড়ায় ধারাবাহিকভাবে ভারী হামলা চালিয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে, দখলদার সেনাবাহিনীর কামান “আল-নাফাক স্ট্রিটের” আশেপাশের পাড়াগুলোতে ভারী গোলাবর্ষণ করেছে।
একইভাবে আল-দারজ পাড়াতেও আল-শা’বিয়া চৌরাস্তার কাছে একটি আবাসিক ইউনিটে বিমান হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। গাজার উত্তর-পশ্চিমে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, যেখানে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আবাসিক এলাকা এবং আল-খাবারাত টাওয়ারের কাছে বোমা ভর্তি বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যানের বিস্ফোরণ ঘটায়। এই অভিযানের যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং বিস্ফোরণের ভয়াবহ মুহূর্তগুলোকে প্রামাণ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কামানগুলো গাজার উত্তর-পশ্চিমে শেখ রাদওয়ান পাড়া এবং আল-গাফরি চৌরাস্তার আশেপাশে ব্যাপকভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। একই সময়ে, ইসরাইলের একটি অ্যাপাচি হেলিকপ্টারও পূর্ব গাজা শহরের দিকে সরাসরি গুলি চালায়। পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.