গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। একই দিনে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এ বিষয়ে যুগান্তকারী ঘোষণা দেন। খবর- এএফপি ও বিবিসি
এক ভিডিও বার্তায় স্টারমার বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা পুনর্জীবিত করতে, মহান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিচ্ছি।
এরমধ্যে দিয়ে শিল্পোন্নত জি সেভেন গোষ্ঠীর প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য। এখন লন্ডনের দেখানো পথ ধরে স্বীকৃতি দেওয়ার তালিকায় রয়েছে প্যারিস এবং অটোয়া। তাদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে দেশদুটি।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে, একই দিন সকালে স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ উপ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, স্বীকৃতি দিলেই কিন্তু রাতারাতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন হয়ে যাবে না।
যদিও আজ প্রথম কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক বিবৃতিতে বলেন, আজ থেকে কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয় রাষ্ট্রের একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। এই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অবশ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই যখন একাধিক পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছিল, তখন থেকেই নাখোশ ছিল ইসরায়েল।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.