আফগানদের বিদায়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

‘বি’ গ্রুপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে বাংলাদেশ এবং নিজেদের সুপার ফোর নিশ্চিত করল শ্রীলঙ্কা। নুয়ান থুসারার চার উইকেট এবং কুশল মেন্ডিসের হাফ সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতল চারিথ আসালঙ্কার দল।

 

লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ওমরজাইয়ের গুড লেংথের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ইনফর্ম এই ওপেনার। তার ব্যাটে আসে ৫ বলে ছয় রান। ২.২ ওভারে উইকেটটি হারানোর আগে শ্রীলঙ্কা তোলে ২২ রান।

 

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে কামিল মিশারার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এই উইকেটটি নেন মোহাম্মদ নবি। তার টসড আপ ডেলিভারিতে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিশারা। পাওয়ার প্লে’তে শ্রীলঙ্কা তোলে দুই উইকেটে ৫৩ রান। মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণিতে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে কুশল পেরেরা (২০ বলে ২৮) ফেরার একটু পরই দলীয় শতকে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা। পার করে ১০১ রান। ফলে বি গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।

 

তারপর ১২ বলে ১৭ রান করা চারিথ আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে আবারো ম্যাচ জমিয়ে দেন নুর আহমেদ। কিন্তু ম্যাচটি আর শ্রীলঙ্কার দিকে যেতে দেননি কামিন্দু মেন্ডিস। ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি। শুরু থেকে ইনিংস বয়ে নিতে ৫২ বলে ১০টি চারে ৭৪ রান করেন কুশল মেন্ডিস। ১৮.৪ ওভারেই ম্যাচটি জিতে শ্রীলঙ্কা।

 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। তাদের ওপেনিং জুটি ভাঙে মাত্র ২৬ রানেই। রহমান উল্লাহ গুরবাজ ৮ বলে ১৪ রান করে নুয়ান থুশারার ফুলার লেন্থের বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। একই ওভারে এরপর তিন নম্বরে প্রমোশন পাওয়া করিম জানাতকে বোল্ড করে আউট করেন থুশারা। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে থুশারা আউট করেছেন আরেক ওপেনার সেদিকউল্লাহ অতলকেও। ফলে ৪০ রানেই আফগানরা হারায় ৩ উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪৫।

 

আফগানিস্তান দলীয় ৭৯ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারায়। ডারউইশ রাসুলীকে আউট করেছেন দুশমান্থ চামিরা। লঙ্কান এই পেসারের শর্ট বলে টপ এজ হয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চলে কুশাল পেরেরা হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৯ রান করা রাসুলী। এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে বেশিক্ষণ থিতু হতে দেননি দাসুন শানাকা। এই পেসারের করা অফ স্টাম্পের বাইরে খানিক ছোট লেংথে বলে কাট করতে গিয়েছিলেন ওমরজাই। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্টাম্পে। ফলে ৬ রানেই ফিরতে হয় এই আফগান ব্যাটারকে।

 

একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেলেও অন্যপ্রান্তে স্নায়ুচাপ ধরে রেখে খেলছিলেন ইব্রাহীম জাদরান। তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। দুনিথ ওয়েলালাগের বল টেনে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ের গড়বড় করে লং অনে তিনি ক্যাচ দেন চামিরা। তিনি ক্যাচ নিয়ে সীমানার কাছে পড়ে যান। তবে হাত থেকে বল পড়তে দেননি তিনি। আর তাতেই বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান।

 

সপ্তম উইকেটে ৩০ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান। এই জুটি ভেঙেছনে থুশারা। নিজের শেষ ওভার করতে এসে রশিদকে বোল্ড করেছেন তিনি। থুশারার বল সুইপ করতে চেয়েছিলেন রশিদ। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল লাগে প্যাটে।

 

এরপর ধীরে ধীরে বল চলে যায় স্টাম্পে। রশিদ ভেবেছিলেন এলবিডব্লিউ আউট দিয়েছেন আম্পায়ার। ফলে তিনি রিভিউ নেন। এরপর আম্পায়ার তাকে শুধরে দেন। ফলে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় ২৩ বলে ২৪ রান করা রশিদকে। ইনিংসের শেষ ওভারে দুনিথ ওয়েলালাগেকে টানা চার ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নবি। শেষ ওভারে ৩২ রান তুলে নিয়ে আফগানিস্তান ১৬৯ রান সংগ্রহ করে। নবি ২২ বলে ৬০ রান করে শেষ বলে রান আউট হয়েছেন।

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.