রুশ গমের রফতানিমূল্য হ্রাস, বাড়ছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা

রাশিয়ায় গত সপ্তাহে গমের রফতানি মূল্য আরো কমেছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ গমের প্রতিযোগী সক্ষমতা আরো বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও এ সময় রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যশস্যটির দাম বেড়েছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে গমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে রুবলের বিনিময় হার কমে যাওয়া ও কৃষকদের বিক্রি হ্রাস।

আইকেএআরের প্রধান দিমিত্রি রিলকো জানান, সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগ থেকে অক্টোবরের প্রথম পর্যন্ত সরবরাহের জন্য ১২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ রুশ গমের ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) মূল্য দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ২২৫ ডলার। এটি আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ ডলার কম।

সভেকন জানিয়েছে, একই মানের গমের দাম গত সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ২২৬-২২৮ ডলার, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২২৮-২৩০ ডলার।

সভেকনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দরে রাশিয়ার গম এখনো প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে। সংস্থাটি জানায়, রুবলের বিনিময় হার কমে যাওয়া ও রফতানিকারকদের বেশি চাহিদার কারণে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে গমের দাম বেড়েছে।

গত সপ্তাহে রুবলের বিনিময় হার ৫ শতাংশের বেশি কমেছিল। কারণ সে সময় বাজারসংশ্লিষ্টদের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার ২০০ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে। তবে ১২ সেপ্টেম্বর তা মাত্র ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ১৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এ কারণে রুবলের বিনিময় হার আবার শক্তিশালী হতে শুরু করে।

রুবলের বিনিময় হার কমে গেলে গম রফতানি থেকে রাশিয়ার কৃষকদের আয় বেড়ে যায়। এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারক দেশটি ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রফতানি শুল্ক প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে টনপ্রতি ৪৯৫ দশমিক ৯ রুবল (৫ ডলার ৯১ সেন্ট) করেছে।

সাধারণত শরতে রফতানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ শুল্কও বাড়ে। তবে সভেকন মনে করছে, শুধু রুবলের বিনিময় হার কমে গেলেই রফতানিমূল্য কমবে—এমনটা সবসময় ঘটে না। কারণ রফতানি শুল্ক ও কৃষকদের বিক্রির গতি বাজারে সমানভাবে প্রভাব ফেলে।

অর্থসুচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.