বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত তিনটি পৃথক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ আট জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন ঢাকার আদালত।
পুলিশের পৃথক ৩ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তাদের গ্রেফতার দেখান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান পুলিশের পৃথক আবেদনের পর তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। মামলার আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন- মো. আব্দুর রাজ্জাক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবেক এমপি সায়েদুল হক সুমন, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এবং নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
তিনটি মামলার মধ্যে, যাত্রাবাড়ী থানার রিয়াজ হত্যা মামলায় আনিসুল হক, আমু, আব্দুর রাজ্জাক, মেনন, ইনু, সুমন ও মনুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই থানার জুবাইদ ইসলাম হত্যা মামলায় মনুকে এবং ভাটারা থানার নাঈম হাসান নিলয় হত্যাচেষ্টা মামলায় নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক রোডে আন্দোলনে অংশ নেওয়া মো. রিয়াজ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বোন ফারজানা বেগম ২২ জুলাই হত্যা মামলা করেন।
নাজরুল ইসলামের মামলা অনুসারে, ১৯ জুলাই ভাটারার ১০০ ফিট নতুন বাজারের ফরাজী হাসপাতালের সামনে নাঈম হাসান নিলয়সহ মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ১৪ অক্টোবর নিলয় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মনুর মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া জুবাইদ ইসলাম সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২৩ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় এ ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.