মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, দুর্গাপূজায় সৌজন্য প্রদর্শন ও বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে এ বছর ভারতে ১ হাজার ২শ’ মেট্রিকটন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই পরিমাণ গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। প্রবাসী বাঙালিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ১১ হাজার মেট্রিকটন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের মাছের স্বাদ উপভোগের সুযোগ পাবেন।
সোমবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নারী কৃষক এবং স্থানীয় এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।
ফরিদা আখতার বলেন, এ বছর জাটকা নিধনের ফলে ইলিশের উৎপাদন কম হয়েছে, যার প্রভাব দেশের বাজারে পড়েছে। বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে চলতি মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। পাশাপাশি জেলেদের জন্য প্রণোদনা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও অব্যাহত থাকবে।
গবাদি পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, গবাদি পশুকে এলএসডি (লাম্পি স্কিন ডিজিস) মুক্ত করতে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জসহ চারটি জেলাকে সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। পরবর্তীতে এই কার্যক্রম দেশের অন্যান্য জেলায়ও সম্প্রসারিত হবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.