ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন সময়সীমা বাড়াল

ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের লক্ষ্যে আবেদনকারীদের পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি ও বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় এনে আবেদনপত্র গ্রহণের সময়সীমা চলতি বছরের ২ নভেম্বর (রোববার সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। তবে, পূর্বে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির অন্যান্য বিষয়াবলী অপরিবর্তিত থাকবে।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য আবেদন আহ্বান করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক খাতের বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষতা বৃদ্ধি, আর্থিক সেবার পরিধি বিস্তৃতকরণ এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সহজ করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এছাড়া, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণপ্রবাহ সহজ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।

আবেদনকারীদের নির্ধারিত ফরম পূরণের পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র সরাসরি জমা দেয়ার পাশাপাশি ই-মেইলের মাধ্যমেও সকল নথি পাঠাতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আর্থিক খাতে কার্যকারিতা বাড়ানোই ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য। এর জন্য আলাদা শাখা, উপশাখা বা এটিএম বুথের প্রয়োজন হবে না। সব ধরনের সেবা মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অ্যাপ-নির্ভরভাবে প্রদান করা হবে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন করে। সে সময় পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা, যা সাম্প্রতিক সংশোধনীতে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকের জন্য এ পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রদান করা হবে এবং পেমেন্ট সার্ভিস চলবে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন অনুসারে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.