বিশ্ব বাজারে কিছুটা কমলো স্বর্ণের দাম

কিছুটা কমলেও এখনো রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি স্বর্ণের দাম। মূলত ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় বিক্রয়চাপ কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় মূল্যবান ধাতুটির দাম কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। আবার যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশের অপেক্ষায়ও লেনদেনে রক্ষণশীল অবস্থান নিয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্পট মার্কেটে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬২৯ ডলার ২৩ সেন্টে। আগের দিনের তুলনায় দরপতনের হার দশমিক ৩ শতাংশ। এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৬৭৩ ডলার ৯৫ সেন্টে পৌঁছয়, যা এখন পর্যন্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ। নিউইয়র্কের কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (কোমেক্স) ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে দশমিক ৪ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের বিক্রয় মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৬৬ ডলার ৭০ সেন্টে।

বাজারে স্বর্ণের এ নিম্নমুখিতায় বড় প্রভাবকের কাজ করেছে ডলারের বিনিময় হারে পতন। আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে প্রধান কয়েকটি মুদ্রা নিয়ে গঠিত বাস্কেটে ডলার সূচক বেড়েছে দশমিক ২ শতাংশ। এতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ডলারে কেনাবেচা হওয়া পণ্যটির সংগ্রহ ব্যয়ও বেড়েছে। এক্ষেত্রে স্বর্ণের আমদানি চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় বলে ডলারের বিনিময় হার বাড়লে বরাবরই কিছুটা নিম্নমুখী চাপে পড়ে যায় স্বর্ণের দাম।

মূল্যবান অন্যান্য ধাতুর দামেও দেখা যাচ্ছে নিম্নমুখী প্রবণতা। এসব ধাতুর মধ্যে রূপার দাম হ্রাস পেয়েছে দশমিক ২ শতাংশ। ধাতুটির আউন্সপ্রতি মূল্য নেমে এসেছে ৪১ ডলার ৫ সেন্টে। একইভাবে প্লাটিনামের দাম কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ। বাজারে পণ্যটি কেনাবেচা হচ্ছে প্রতি আউন্স ১ হাজার ৩৭৭ ডলার ৩৭ সেন্টে। আর শিল্প খাতে ব্যবহৃত আরেক মূল্যবান ধাতু প্যালাডিয়ামের দাম কমেছে দশমিক ১ শতাংশ। মূল্য নেমে এসেছে প্রতি আউন্স ১ হাজার ১৭২ ডলার ৪৫ সেন্টে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.