আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য নতুন গাড়ি কেনার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব বাতিল করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ৩০০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে। নির্বাচনের সময় ভাঙা গাড়ি দিয়ে কাজ চালানো সম্ভব না। আমরা ঠিক করেছি ভরসাযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয়–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬০টি গাড়ি কেনার একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল, যা অর্থ মন্ত্রণালয় নাকচ করেছে। এই খবর গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, তা সঠিক নয়।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ৩০০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে। নির্বাচনের সময় ভাঙা গাড়ি দিয়ে কাজ চালানো সম্ভব না। আমরা ঠিক করেছি ভরসাযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, “ঠিক সংখ্যা মনে নেই, তবে প্রস্তাবিত ৩০০টি গাড়ির মধ্যে ৬০টি মন্ত্রীদের জন্য ছিল না। এটি নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, “আগের সরকারের কিছু সংসদ সদস্যের জন্য আমদানি করা ৩০ থেকে ৪০টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করেছে সরকার। প্রতিটি গাড়ির মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই গাড়িগুলো নির্বাচনকালীন সময়ে ব্যবহার করা হবে।”
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি জাপান সফর করেন। সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “জাপান সরকার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ দক্ষ জনবল নিতে চায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে জাপানের অর্থমন্ত্রী, জাইকা ও এডিবি-র সঙ্গে আলোচনা করেছি।”
তিনি জানান, “জাপানে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাত-এ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। কোনো দালাল ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ হবে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, প্রশিক্ষণের গতি ধীর। কারণ, জাপানে কাজ পেতে হলে জাপানি ভাষা জানতে হয়।”
নেপাল ইতোমধ্যে আড়াই লাখ কর্মী পাঠিয়েছে, আর বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে, জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, “জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। মেট্রোরেলসহ একাধিক মেগা প্রকল্পে জাইকা অর্থায়ন করছে। আমরা ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) নিয়ে জাপানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাপান খুব আগ্রহ দেখিয়েছে।”
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.