কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল-থানি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের শেষ আশাকেও খুন করেছেন। মঙ্গলবার দোহায় হামাস আলোচকদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুধবার এক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আল-থানি হামলাটিকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দেন। ওই হামলায় অন্তত ছয়জন হামাস সদস্য নিহত হন। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিচ্ছিলেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতানিয়াহুকে ন্যায়বিচারের কাঠগড়ায় আনা উচিত।
আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু দৃপ্ত কণ্ঠে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কাতারকে ‘সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা’ আখ্যা দেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যেসব দেশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়, তারা হয় সন্ত্রাসীদের দেশ থেকে বের করে দেবে অথবা বিচারের মুখোমুখি করবে। নইলে আমরা করব।’
আল-থানি বলেন, আলোচনার আয়োজনে কাতারের সময় নষ্ট হয়েছে এবং দেশটি এখন থেকে নিজেদের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, ‘হামলার সকালেই আমি এক জিম্মির পরিবারের সঙ্গে দেখা করি। তারা কেবল এই মধ্যস্থতার ওপর নির্ভর করছিল। কিন্তু নেতানিয়াহু গতকাল যা করেছেন, তা দিয়ে তিনি জিম্মিদের সব আশা ধ্বংস করে দিয়েছেন।’
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.