বহুল প্রতিক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ১২ সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির জয় পেয়েছে। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিক এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন ও সংশ্লিষ্টরা।
ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পদগুলোতে কে কোন পদে জয়ী হয়েছে, জেনে নেওয়া যাক।
জয়ী হলেন যারা–
সহ-সভাপতি (ভিপি)– আবু সাদিক কায়েম
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) –এস এম ফরহাদ
সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—মুহা মহিউদ্দীন খান
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক—ফাতেমা তাসনিম জুমা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক—ইকবাল হায়দার
কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক— উম্মে ছালমা
আন্তর্জাতিক সম্পাদক—জসীমউদ্দিন খান
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক—মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র)
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক—সানজিদা আহমেদ তন্বি (স্বতন্ত্র)
ক্রীড়া সম্পাদক—আরমান হোসেন
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক—আসিফ আব্দুল্লাহ
সমাজসেবা সম্পাদক—যুবাইর বিন নেছারী (স্বতন্ত্র)
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক—মাজহারুল ইসলাম
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক—এম এম আল মিনহাজ
মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক—মো. জাকারিয়া
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট ও জিএস পদে এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট ও জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম ৫ হাজার ২৮৩ পেয়েছেন ভোট। এজিএসে পদে মহিউদ্দিন খান পেয়েছেন ১১,৭৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট
প্রায় ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এবারের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ এবং ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়েছেন ৪৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন প্রার্থী।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.