কাতারে ইসরায়েলি হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেছেন, এই হামলা ‘কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি পরিষ্কার লঙ্ঘন’। কাতারকে তিনি এমন একটি দেশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যারা ‘যুদ্ধবিরতি ও সকল জিম্মিদের মুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ পালন করছে। সব পক্ষের উচিত একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অর্জনের কাজ করা, সেটি ধ্বংস করা নয়।
এ ছাড়া হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে এ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ “আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন” এবং “কাতার ও ফিলিস্তিনি মধ্যস্থতাকারীদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন”।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এটি অবশ্যই “এই অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুতর সতর্কবার্তা” হিসেবে কাজ করবে।
এ বছরের জুনের শেষ দিক থেকে যুদ্ধবিরতি পালন করছে ইরান ও ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, “হামাসের শীর্ষ সন্ত্রাসী নেতাদের বিরুদ্ধে আজকের অভিযান ছিল সম্পূর্ণ স্বাধীন ইসরায়েলি অভিযান”।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, কাতারের দোহায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউজকে আগেই জানানো হয়েছিল।
ন্যাটোর বাইরে কাতার যুক্তরাষ্ট্রের বড় মিত্র দেশ, যেখানে দেশটির ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.