গণবিদ্রোহের ফলে প্রতিবেশী নেপালে সরকার পতন হলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ভারতের পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।
এই মুহূর্তে কার্যত পালানোর পথ খুঁজছেন নেপালের সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। বাংলার সীমান্ত ঘেষা নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে পশ্চিমবাংলাতে।
বিষয়টি নিয়ে আজ উদ্বেগপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেখানে শান্তির বার্তা দিলেন।
মমতা বলেন, নেপাল আমার দেশ নয়। এটা বিদেশি রাষ্ট্র। এই ব্যাপারে কথা বলতে পারি না। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। তবে সেখানকার সংকট নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলেই আমরা কিছু বলতে পারি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অগস্টে বাংলাদেশের অভ্যুথানের ফলে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তখনও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা বলবে, তা-ই করবে রাজ্য। নেপালের প্রসঙ্গেও একই অবস্থান নিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকায় নজর রাখার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। শিলিগুড়ি, কালিম্পঙে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নেপালের বিস্তীর্ণ সীমান্ত রয়েছে। কেউ কোনও গন্ডগোল জড়িয়ে পড়বেন না। ওখানে শান্তি ফিরে আসুক। মমতা বলেন, আমারা মনে করি, পাড়া-প্রতিবেশী ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব। মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে কেউ এই মুহূর্তে নেপালে যাবেন না। পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.