পাট পণ্যে নান্দনিকতা ও ব্যবহারিকতা জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

পাট পণ্যের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্র তৈরিতে নান্দনিকতা ও ব্যবহারিক উপযোগিতাকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে ‘পাটভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য টেকসই বাজার প্রবেশ’ বিষয়ক বুটক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পাট পণ্য দিয়ে শুধু ফুল ও ফল তৈরি করে বেশি দূর এগোনো সম্ভব নয়। ফুল ও ফলের মতো নান্দনিক জিনিস বানালে মানুষ দেখে খুশি হয়, কিনে না। পাট পণ্যে অগ্রসর হতে হলে এমন জিনিস বানাতে হবে যা মানুষ কিনে ও ব্যবহার করে।

সরকার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটে একসেস তৈরিতে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ সেই প্রচেষ্টার অংশ। প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ পাটের ব্যাগ বাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যা এক কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। এই ব্যাগ বাজারজাতকরণে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে এবং সেই অর্থের সংস্থান করা হয়েছে।

তবে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশামাফিক হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, একটি টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে উদ্যোক্তারা ৪/৫ মাস সময় নিয়েছেন, যা সন্তোষজনক নয়।

তিনি আরও বলেন, পণ্য বিক্রি করতে হলে তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে—প্রথমত ব্যবহারিক উপযোগিতা, দ্বিতীয়ত নান্দনিকতা, এবং তৃতীয়ত বাজার প্রবেশের সক্ষমতা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের মহাপরিচালক মো. জাহিদ হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও অনুবিভাগের যুগ্মসচিব শায়লা ইয়াসমিন, গ্লোবাল স্ট্রাটেজিস্ট তারা মালহারে, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডাক ডাং ব্রুস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পাট পণ্য নিয়ে কাজ করা ১০৫ জন স্বল্প ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.