পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূতকরণে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন

পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের একীভূত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আট সদস্যের একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করেছে সরকার। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গত রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। একীভূত ব্যাংকের সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’।

কমিটির কার্যপরিধি হচ্ছে ব্যাংকগুলোর একীভূত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা। সংশ্লিষ্ট পাঁচটি ব্যাংক হচ্ছে—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. কবির আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন, উপসচিব ফরিদ আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ ও মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক রেজল্যুশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জহির হোসেন, একই বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আরিফ উজ জামান ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিতির জন্য বিধি মোতাবেক সম্মানী পাবেন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সমস্যায় পড়া এই পাঁচটি ইসলামি ধারার ব্যাংককে একীভূত করে একটি একক ইসলামি ব্যাংকে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন ব্যাংকের মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা জোগান দেবে সরকার, বাকিটা ঋণ হিসেবে সংগ্রহ করা হবে।

এক্সিম ব্যাংক ছাড়া বাকি চারটি ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক—এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন হিসেবে পরিচিত, যিনি সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারও ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত সপ্তাহে পাঁচ ব্যাংকের সঙ্গে শুনানি করে। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক নির্বিঘ্নে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়। এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আরও সময় চেয়েছে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, “প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি, একীভূত হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। প্রস্তাবিত ব্যাংকটির মাধ্যমে সারা দেশে সাড়া ফেলে দেওয়া খুবই সম্ভব।”

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.