অবশেষে নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে নেপাল। কাঠমান্ডুতে ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভ ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার পর পিছু হটতে বাধ্য হলো দেশটির সরকার।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে নেয়া হয় এ সিদ্ধান্ত।
যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী পৃথিবী সুবা গুরুং জানিয়ছেন, জেন জি’র আন্দোলন ও দাবির জেরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার চালুর বিষয়ে একমত হয়েছেন মন্ত্রীরা।
এর আগে, তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ লেখক। সোমবার সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বালুওয়াতারে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানিয়েছেন, বিক্ষোভ সহিংসতায় ১৯ জনের প্রাণহানি ও চার শতাধিক মানুষ আহত হওয়ায়, নৈতিক কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়েছেন রামেশ।
এরও আগে, নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয় গত ৪ সেপ্টেম্বর। এ সময় থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ ছিল।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। এই আন্দোলনকে ‘জেন-জি রেভলিউশন’ নাম দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
নেপাল সরকারের ভাষ্যমতে, দেশটিতে কিছু প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহারকারীরা ঘৃণা ও গুজব ছড়াচ্ছে, সাইবার অপরাধ করছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে।
গত বুধবার পর্যন্ত এসব সামাজিক প্ল্যাটফর্মকে নিবন্ধন করার সবশেষ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নেপাল সরকার। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশটির টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে (এনটিএ) অনিবন্ধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এর ফলে সরাসরি জনগণের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.