নেপালে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ভয়াবহ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার সকালে রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও শত শত বিক্ষোভকারী।
প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি ফেসবুক, ইউটিউব, এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া ছাত্র ও জনতার বিক্ষোভ এখন পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর বিভিন্ন জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করেছে। এক তরুণ বিক্ষোভকারী জানান, ‘‘ভেতর থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী উসকানি দিচ্ছে, তবে আমরা জয়ী হব।’’
গণমাধ্যম জানায়, রাজধানীর বানেশ্বর এলাকায় সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা ঘটে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৪ জন নিহত হন।
ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক ডা. দীপেন্দ্র পাণ্ডে জানিয়েছেন, হাসপাতালে সাতজনের মরদেহ আনা হয়েছে এবং আরও ১০ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের মাথা ও বুকে গুলির আঘাত রয়েছে।
এভারেস্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা অনিল অধিকারী জানান, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
কাঠমান্ডুর সিভিল হাসপাতাল, কেএমসি হাসপাতাল এবং ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালেও আরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.