উচ্চ ফি, লুকানো চার্জ এবং কম এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবচয় হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে এই ক্ষতির পরিমাণ ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও মানি ট্রান্সফার অ্যাপ না’লা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন না’লা বাংলাদেশের হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অতিরিক্ত ফি, লুকানো চার্জ ও অনুকূলহীন এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রবাসীরা হারিয়েছেন ৫৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তিনি জানান, প্রবাসীরা এ বছর দেশে পাঠিয়েছেন ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে নানা চার্জ ও নিম্নমানের রেটের কারণে, যা দেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় ২ দশমিক ০২৫ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ।
মাহমুদুল হাসান বলেন, “বাংলাদেশি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা জিরো ফিতে দ্রুত এবং নিরাপদভাবে দেশে পৌঁছানোই আমাদের অঙ্গীকার। প্রবাসীরা তাদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে শুধু পরিবারের নয়, দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করছেন। তাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই, রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যেন বাড়তি খরচ, লুকানো চার্জ বা বিলম্ব না থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি লেনদেনে আস্থা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রবাসীরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন—‘আমাদের টাকা নিরাপদে, দ্রুত এবং বিনামূল্যে দেশে পৌঁছাচ্ছে।’ এভাবেই আমরা রেমিট্যান্সপ্রবাহকে শক্তিশালী করে জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, প্রবাসীদের সাচ্ছন্দ্যের জন্য অ্যাপটি চালু করা হয়েছে। প্রবাস জীবনের ব্যস্ততায় ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জে গিয়ে অর্থ পাঠানো অনেক সময় ঝামেলাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং এতে অতিরিক্ত খরচও হয়। এমন পরিস্থিতিতে, না’লা অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই সর্বোত্তম রেটে ও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অর্থ পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা।
বর্তমানে না’লা অ্যাপ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের ২১টি দেশ থেকে প্রবাসীরা বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারছেন। ২০২১ সালে চালু হওয়া অ্যাপটির ব্যবহারকারী সংখ্যা এরই মধ্যে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.