শ্রম আইন সংস্কারে ট্রেড ইউনিয়ন সুপারিশ নিয়ে বিইএফের উদ্বেগ

শ্রম আইন সংস্কারে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের নতুন প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ)।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ স্বাক্ষর করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অংশীজনেরা ত্রিপক্ষীয়ভাবে একমত হওয়ার পরও নতুন করে কিছু সুপারিশ আনা হয়েছে, যা শ্রমবাজারের মূল দুই অংশীজন—মালিক ও শ্রমিক—কে প্রায় পাশ কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে প্রতিষ্ঠান যেকোনো আকারের হোক না কেন, মাত্র ২০ জন শ্রমিকের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিইএফ। সংগঠনটির মতে, এই প্রস্তাব শিল্পের বাইরের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করবে, কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বিপন্ন করবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।

বিইএফ মনে করে, এই ধরনের পদক্ষেপ প্রকৃত ট্রেড ইউনিয়নকে শক্তিশালী করার বদলে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, যা শ্রমিক ও মালিক উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

সংগঠনটি বলেছে, শ্রম আইন সংস্কার অবশ্যই দেশের বাস্তবতা, শিল্পখাতের প্রেক্ষাপট ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। কোনো আরোপিত বা বাহ্যিক চাপের কারণে হলে তা বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দেবে।

বিইএফ আরও বলেছে, দেশের বড় চ্যালেঞ্জ হলো—প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের ঘাটতি, দুর্বল শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে অকার্যকর প্রশাসনিক কাঠামো। এসব সমস্যার সমাধান ছাড়া শ্রম আইন সংশোধন বাস্তবে সুফল দেবে না।

সংগঠনটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও উন্নয়ন সহযোগীদের আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ত্রিপক্ষীয় নীতিমালা বজায় রেখে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে স্বচ্ছ আলোচনার ভিত্তিতে যেকোনো পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবাস্তব সংশোধনী হয়তো সাময়িকভাবে বাহ্যিক মহলকে সন্তুষ্ট করতে পারে, কিন্তু এর খেসারত দিতে হবে দেশের শিল্পের টেকসই ভবিষ্যৎ, শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা এবং লাখ লাখ শ্রমিকের জীবিকার নিরাপত্তার মাধ্যমে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.