প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে ৯ উইকেটে জিতে সিরিজও নিশ্চিত করে নিয়েছেন লিটন দাসরা। সিরিজ জেতার পরও এশিয়া কাপের আগে প্রস্তুতি কতটা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে স্বাভাবিকভাবেই। সেটার বড় একটা কারণ তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও টস জিতে আগে বোলিং নেয়া।
সফরকারীদের অল্প রানে গুটিয়ে দেয়ার পর সহজেই ম্যাচ জিতে যাওয়ায় ব্যাটিংয়ের ড্রেস রিহার্সেল হয়নি বেশিরভাগ ব্যাটারের। নিজেদের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে প্রস্তুতিটা সারতে চাইবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর নেদারল্যান্ডসকেও হোয়াইটওয়াশের সুযোগ থাকছে স্বাগতিকদের সামনে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতেছে নেদারল্যান্ডস। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কট এডওয়ার্ডস। ফলে আগে ব্যাটিং করতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিততে পারলে প্রথমবারের মতো নেদারল্যান্ডসকে হোয়াইটওয়াশ করবে স্বাগতিকরা। এমন ম্যাচে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেনকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। ফলে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে লিটন দাস ও সাইফ হাসানকে। ২০২২ সালের পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি একাদশে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান।
এ ছাড়া অসুস্থতা কাটিয়ে সুযোগ পেয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারিও। টানা দুই ম্যাচেই বল হাতে ছন্দে থাকা দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানকেও বিশ্রাম দিয়েছে বাংলাদেশ। একাদশে ফেরানো হয়েছে শরিফুল ইসলামকে। চলতি সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অফ স্পিনার শেখ মেহেদীর জায়গায় একাদশে ফিরেছেন রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ এবং তানজিম হাসান সাকিব।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.