ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করে নিয়ে এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, চৌধুরী মামুন পুলিশ প্রধান থাকায় তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ষ ও গোপন বিষয় জানেন, যা তার সাক্ষ্যে আদালতকে জানাবেন। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা ও গণভবন থেকে কীভাবে মারণাস্ত্র ব্যবহারসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন তিনি।
তবে আজ সাক্ষ্যগ্রহণের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের আদালতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এর আগে, এই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে চৌধুরী মামুন জানান, জুলাই আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত হয় রাজনৈতিক ভাবে।
সাবেক আইজিপি জানান, মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনা এসেছিল শেখ হাসিনার কাছ থেকে। আর সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব, ডিবির হারুন ছিলেন মরণাস্ত্র ব্যবহারে অতিউৎসাহী।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩৫ জন। তারা বর্ণনা করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতা। বিচার দাবি করেন নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল সহ জুলাই গণহত্যায় জড়িত সকলের।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.