ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রবতীর বাসভবনে রাতভর লুটপাট চালানো হয়েছে। তার বাড়ির নিরাপত্তায় থাকা সেনা সদস্য এবং এক প্রত্যক্ষদর্শী রোববার (৩১ আগস্ট) বার্তা সংস্থা এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশি গুলিতে একজন ট্যাক্সি চালকের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের মধ্যেই এই লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আইনপ্রণেতাদের জন্য আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি বিরোধী এক সমাবেশে গুলিতে আফান কুর্নিয়াওয়ান নামের ওই চালক নিহত হন।
এরপর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং একাধিক শহরে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়।
রাজধানী জাকার্তার পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ তাঙ্গেরাং শহরে রোববার ভোরে শ্রী মুলিয়ানির বাড়িতে দুই দফা লুটপাট হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশী ড্যামিয়ানাস রুডলফ।
৩৪ বছর বয়সী এই নারী জানান, প্রথম দলে মোটরসাইকেলে চড়ে ২-৩ জন করে অনেক লুটেরা আসে, আর দ্বিতীয় দলে প্রায় ১৫০ জন ছিল।
তিনি বলেন, “তারা আমাদের বাসার টেলিভিশন, সাউন্ড সিস্টেম, বসার ঘরের সাজসজ্জা, পোশাক, প্লেট, বাটি—সব কিছু নিয়ে গেছে।”
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আন্তারা জানিয়েছে, ঘটনার সময় অর্থমন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না।
শ্রী মুলিয়ানি একজন প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ, যিনি একসময় বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি ইন্দোনেশিয়ার তিনজন প্রেসিডেন্টের অধীনে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ন্যাসডেম দলের রাজনীতিবিদ নাফা উরবাখের বাড়িতে রোববার ভোরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
শনিবার রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায় আইনপ্রণেতা একো হেনড্রো পূর্ণোমোর বাড়িতে।
বিক্ষোভ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে জাভার যোগকার্তা, বান্দুং, সেমারাং, সুরাবায়া এবং উত্তর সুমাত্রার মেদানসহ একাধিক প্রধান শহরে।
এই সহিংস বিক্ষোভ ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অস্থিরতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.