গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ এক বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নূরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানা হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দাবি করেছে, এই ধরনের সহিংসতা শুধু জনাব নূরের ওপরই নয়, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পিরিট এবং দেশের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ঐতিহাসিক সংগ্রামের ওপরও আঘাত। সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করেছে যে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে এবং যে কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা পদমর্যাদার ব্যক্তি দায়মুক্তি পাবে না।
সরকার জানিয়েছে, তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল বিষয়টি অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে এবং দ্রুততার সাথে বিচার করা।
তাছাড়া, আহত নূরুল হক নূর এবং তার দলের অন্যান্য সদস্যদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তাদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।
এই সংকটময় সময়ে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনাব নূরুল হক নূর এবং তাঁর দলের আহত সদস্যদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। তারা একই সাথে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, বিশেষ করে ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নূরের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আরও জানিয়েছে যে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্র বা বাধা যেন গণতন্ত্রের পথে অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.