বিকেলে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশের ডাক গণঅধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি।

সংঘর্ষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন। আহত নুরকে তার সঙ্গীরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সোয়া ৮টার পর থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা চলতেই থাকে।

এসময় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়কে আগুন জ্বালিয়ে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলেন। অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাকরাইল এলাকায় অবস্থান নিয়ে নিয়ন্ত্রণ কায়েমের চেষ্টা চালায়।

সংঘর্ষের পর একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে দুই দল। গণঅধিকার পরিষদের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পেছন থেকে হামলা চালায় জাতীয় পার্টি। আর জাতীয় পার্টির বক্তব্য, তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনার পরপরই গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তিনিও আহত হয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ ডেকেছে দলটি। পাশাপাশি মশাল মিছিলেরও ঘোষণা এসেছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী এক বার্তায় বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের মিছিল থেকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।”

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.