রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ সংঘর্ষে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ অনেকে আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সংঘর্ষের শুরুতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংগঠিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পুলিশের কয়েকজন এবং সেনাবাহিনীর অন্তত ৫ সদস্য আহত হন।
আইএসপিআর বলছে, ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায় এবং বিদ্যমান আইন মেনে শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করতে বলে। কিন্তু বারবার অনুরোধ উপেক্ষা করে কতিপয় নেতাকর্মী মশাল মিছিল বের করে সহিংসতা বাড়িয়ে তোলে। পরে রাত ৯টার দিকে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়।
সহিংসতার কারণে বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সেনাবাহিনী সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, জননিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে তারা সর্বদা বদ্ধপরিকর এবং যেকোনও সহিংসতা দমন করতে কঠোর অবস্থান নেবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.