মুমূর্ষূ অবস্থায় নুরুল হক নুরকে নেওয়া হলো ঢাকা মেডিকেলে

মুমূর্ষূ অবস্থায় রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর রাত ১১টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

 

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যদের লাঠিচার্জে আহত হন নুর।

 

হামলার বিষয় গণঅধিকার পরিষদ জানায়, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ, নিবন্ধন বাতিল ও ফ্যাসিবাদী সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি। এতে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

 

আজ পুরানা পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির পর মশাল মিছিল করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিজয়নগর পানি ট্যাংকি এলাকা থেকে ধাওয়া শুরু করে। সেসময় নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় অফিস আল রাজী কমপ্লেক্সের দিকে চলে যায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে নুরুল হক নুরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

 

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মশাল মিছিল নিয়ে জাপা অফিসের দিকে যায় জিওপি নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা। প্রথম দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলটির একাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

 

এর আগে বিকালে বিক্ষোভ মিছিল করে জিওপি নেতাকর্মীরা। তারা পুরানা পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে গ্রেফতার ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।

 

এ ঘটনার পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, যে দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ সভা করেছে, এ ধরনের সমাবেশ করা বেআইনি।

 

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভের পর নুরুল হক ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে গ্রেফতারের দাবি করেন। হুমকি দেন এ দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করার।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.