শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার হচ্ছে পেশাদারিত্ব এবং নিরপেক্ষতা। সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আইন কানুনের বাইরে কারো যাওয়ার সুযোগ নেই। শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

 

শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কার্যক্রমে ৮০ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচন আয়োজনে সাড়ে দশ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

 

সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচন আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের হবে। নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আরও অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ আসলে সেটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

 

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের মূল কথাই থাকবে পেশাদারিত্ব, পেশাদারিত্ব এবং পেশাদারিত্ব। নিরপেক্ষতা, নিরপেক্ষতা এবং নিরপেক্ষতা।

 

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানের মাছউদ বলেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গলায় জুতার মালা পড়ানো হয়েছে। আরেকজন কারাগারে রয়েছেন। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী তার বিশ্লেষণ করা দরকার। আশা করি এক সময় বিশ্লেষণ হবে, গবেষণা হবে।

 

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন হবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এবার ভালো নির্বাচন করার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশন যখন নির্বাচন পরিচালনা করবে তখন কেবল সংবিধান এবং বিধিমালা দিয়েই করতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

 

কোর প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আরেক নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘আপনাদের দাদা তৈরি করছি। দাদাগিরি করার জন্য নয়। এটা ইতিবাচক অর্থে। আগামী নির্বাচন ভালোভাবে করার জন্য আপনাদের খুব ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’

 

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে আমাদের এখানে আসতে হয়েছে। আমি না আসলে এখানে অন্য কেউ আসতো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হচ্ছে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের জায়গা। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।

 

তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। অতীতে আমরা যা কিছু করি বা না করি এবারের নির্বাচন ভালো করতেই হবে।

 

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গলায় জুতার মালা পড়ানো হয়েছে। এটার দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারবে না।

 

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সেজন্য সবাইকে সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কৃচ্ছতা সাধনের নীতির কারণে আগামী নির্বাচন আয়োজনের খরচ ১০০ কোটি টাকা কমে গেছে বলে জানান তিনি।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.