চীন ও জাপান সফরে মোদী, বৈঠক হবে শি-র সঙ্গে
রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাতে জাপানের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। জাপানে দুদিনের সফর সেরে তিনি যাবেন চীনে। এশিয়ার দুটি দেশেই তার সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী চীনে যাচ্ছেন সাত বছরেরও বেশি সময় পর এবং ২০২০ জুন মাসে গালওয়ান ভ্যালিতে দু’দেশের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর প্রথমবার। আগামী ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর চীনের তিয়ানজিনে ‘এসসিও’ জোট বা সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, মোদী তাতে যোগ দেবেন।
স্বাগতিক দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ছাড়াও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানাচ্ছে, এই সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রেসিডেন্ট শি ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে আলাদা একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে বলে দু’পক্ষ একমত হয়েছে। তিয়ানজিনে শি ও মোদীর মধ্যে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে খুব সম্ভবত ৩১ অগাস্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ‘পেনাল্টি’সমেত মোট ৫০ শতাংশ ট্যারিফ বা শুল্ক আরোপ করার পর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য যে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, সেই পটভূমিতে ভারত ও চীনের সর্বোচ্চ নেতাদের মধ্যে এই বৈঠককে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এর আগে বেশ কয়েকটি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে মোদী নিজে না গিয়ে তার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরকে। কিন্তু এবারে তার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে তিনি নিজেই সশরীরে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
চীনে যাওয়ার আগে মোদী জাপান সফরে ‘ভারত-জাপান বার্ষিক সামিটে’ ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা-র সঙ্গে আলাদা বৈঠকও করবেন। প্রধানমন্ত্রী ইশিবা ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে এটাই হবে মুখোমুখি প্রথম বৈঠক।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী কোনো দ্বিপাক্ষিক সফরে জাপান যাচ্ছেন দীর্ঘ সাত বছর পর। ৩০ অগাস্ট সন্ধ্যায় তিনি টোকিও থেকে তিয়ানজিনের উদ্দেশ রওনা দেবেন বলে জানা যাচ্ছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.