তিন দফা থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা বৈঠকে বসেছেন ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে রেলভবনে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
এ ছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১১ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আলোচনায় কী ফলাফল আসে-তা শাহবাগে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এর আগে আজ সকাল ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তারা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যেতে চাইলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এরপর আন্দোলনকারীরা তিন দফা থেকে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, আজকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে জবাবদিহি করতে হবে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করলাম। সেই সঙ্গে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পূর্বে ঘোষিত তিন দফা দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে এবং তিন উপদেষ্টা ফওজুল করিম, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রেজওয়ান হাসানকে এখানে এসে নিশ্চয়তা নিতে হবে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনও হামলা করা যাবে না। আন্দোলনে অংশ নেওয়া রোকনের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি আজকের হামলায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.