যেসব দেশ ডিজিটাল কর আরোপ করেছে, তারা যদি আইন প্রত্যাহার না করে, তাহলে সেসব দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র বেশ উচ্চহারে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা সদস্যরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ওপরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
অনেক দেশ, বিশেষত ইউরোপে, ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় আয়ের ওপর কর আরোপ করেছে। এর আওতায় রয়েছে গুগল, ফেসবুক, অ্যাপল ও অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘যেসব দেশে ডিজিটাল কর, আইন, বিধি বা নীতি রয়েছে, তারা যদি এই বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করে, তবে আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেই দেশের রপ্তানিতে বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপ করব এবং আমাদের অতি সুরক্ষিত প্রযুক্তি ও চিপ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করব।’ অর্থাৎ ডিজিটাল কর থাকলে ওই সব দেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্র চিপ রপ্তানি করবে না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, এসব আইন আমেরিকান প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতি করতে বা তাদের সঙ্গে বৈষম্য করতে প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো সুবিধা পাচ্ছে।
এর আগেও কানাডা ও ফ্রান্সের মতো দেশকে ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স নিয়ে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর বাণিজ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন, যেসব দেশ মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের ওপর ডিজিটাল কর আরোপ করে, তাদের আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বসানোর লক্ষ্যে তদন্ত যেন পুনরায় শুরু করা হয়।
যেসব দেশ ডিজিটাল কর আরোপ করেছে, তাদের যুক্তি হলো, বহুজাতিক ডিজিটাল কোম্পানিগুলোকে স্থানীয় আয়ের ওপর কর দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি, এই আইন বিশ্ববাণিজ্যের নিয়মপরিপন্থী। শুধু মার্কিন কোম্পানিগুলোকে শাস্তি দিতে এই আইন করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় এই করের আওতার বাইরে থেকে যায়। সে কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এতটা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট চালু হতে পারে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.