ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটের দিন থাকবে তিন স্তরের কড়া নিরাপত্তা। একইসঙ্গে বহিরাগতদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ডাকসুর প্রচার-প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর ঘোষণা দেন চিফ রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ডিএমপি আমাদের সঙ্গে থাকবে। তারা সহযোগিতার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছে। ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে। ভোটের দিন তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিএনসিসি সদস্যরা। দ্বিতীয় স্তরে মোতায়েন থাকবে পুলিশ সদস্যরা। আর তৃতীয় স্তরে সেনাবাহিনী থাকবে নির্দিষ্ট প্রবেশপথে। তারা সারাদিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে এবং ভোট শেষে ব্যালটের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করবে।
বহিরাগতদের প্রসঙ্গে প্রফেসর রব্বানী বলেন, ভোটের সাত দিন আগে থেকে কোনো বহিরাগত হলে থাকতে পারবে না। হাউস টিউটর ও প্রভোস্টদের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। আমরা নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ পরিদর্শন করব। ভোটের দিন পুরো ক্যাম্পাস সিলগালা থাকবে। শুধু বৈধ ভোটাররা প্রবেশ করতে পারবে। ওইসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনও বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী অনাবাসিক। তারা সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবহার করেন। ভোটের দিনে তাদের সুবিধার্থে ট্রিপ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে ঢাবি শিক্ষার্থীবাহী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে ও ৯ সেপ্টেম্বর সারাদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে হলে কোনো বহিরাগত অবস্থান করতে পারবে না।
সভায় আরেক রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের শহীদদের অবমাননা করে কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.