বাসাবাড়িতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় চার গুণ বেশি কাজ করেন। বিশেষ করে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের ওপর এ ধরনের কাজের চাপ বেশি। তাঁরা সপ্তাহে গড়ে ২০ ঘণ্টা গৃহস্থালি ও যত্নশীলতার কাজ করেন, যেখানে একই বয়সী পুরুষেরা করেন মাত্র পাঁচ ঘণ্টা। তবে যৌথ পরিবারে বসবাসরত নারীদের কাজের চাপ তুলনামূলকভাবে কম থাকে, ফলে তাঁদের উৎপাদনমুখী কাজে অংশগ্রহণের সুযোগও বেশি থাকে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ‘কেয়ার রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড উইমেন ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ গবেষণা উপদেষ্টা সাজেদা আমিন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের নারী বিভাগের উপপ্রতিনিধি নবনীতা সিনহা এবং সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক।
সাজেদা আমিন বলেন, যৌথ পরিবারে নারীরা গৃহস্থালির কাজে গড়ে তিন ঘণ্টা কম সময় দেন এবং উৎপাদনশীল কাজে দুই ঘণ্টা বেশি সময় পান। এর ফলে তাঁরা বাইরে কাজ করার তুলনামূলক ভালো সুযোগ পান।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক বলেন, পোশাক খাতের নারীরা প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে কর্মস্থলে যান, যার ফলে সন্তানদের সঙ্গে নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই অনেক শিল্প এলাকায় স্থাপিত দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলো খালি পড়ে থাকে। তাঁর মতে, বাসার পাশে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলে এসব কেন্দ্র কার্যকরভাবে কাজে লাগত।
নারীদের জন্য কাজের চাহিদা জরুরি
বিআইডিএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান বলেন, “নারীদের কাজের জন্য চাহিদা তৈরি করতে হবে। বর্তমানে কর্মসংস্থান কম তৈরি হচ্ছে এবং যে সুযোগ তৈরি হচ্ছে, তা পুরুষেরা দখল করে নিচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক খাতে নারীদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়াতে হবে।
সেমিনারে বিআইডিএসের গবেষক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.