বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রাঙ্গণে রুমিন ফারহানা এনসিপির এক নেতার বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, এনসিপি অভিযোগ করেছে, তাদের সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহকে রুমিন ফারহানার উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা মারধর করেছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ ও ৩ আসনের সীমানা নিয়ে শুনানির সময় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ সময় এনসিপির আরও দুই নেতা—প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী ও মুস্তফা সুমন—আহত হন বলে দাবি করেছে দলটি।
সংঘর্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুমিন ফারহানাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একজন অপরিচিত ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দেন। আমি তো একা একজন নারী। স্বাভাবিকভাবেই আমার লোকজন চুপ করে থাকবে না। পরে ওই ব্যক্তি আবার তেড়ে আসেন, ফলে আমার অনুসারীরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনসিপি নেতারা বহিরাগত লোকজন নিয়ে কমিশনে এসেছিলেন। তার ভাষ্য, তারা ধাক্কা দিয়েছে, ফলে ধাক্কার জবাবও এসেছে। এর বাইরে আর কিছু হয়নি।
অন্যদিকে এনসিপি নেতা প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী দাবি করেন, আমরা ইসিতে দাবি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু রুমিন ফারহানার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনেই আমাদের পেটানো হয়েছে।
ঘটনার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। শুনানি চলাকালীন দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক থেকে হাতাহাতিতে রূপ নেয়, যা পরে ইসির নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে আনেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.