জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মরদেহ পোড়ানো মামলা ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

৬ মরদেহ পোড়ানো মামলা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পোড়ানোসহ সাতজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক এমপি ও সাবেক ডিআইজিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একইসঙ্গে পলাতক আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল-২ আসামিদের অব্যহতের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হলো।

অভিযোগ অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৬ জনকে গুলি করলে ৫ জন মারা যায়৷ কিন্তু একজন জীবিত ছিলো৷ পরে ওই পাঁচ মরদেহের সঙ্গে জীবিত অবস্থায় ১জনকেও পুড়িয়ে মারা হয়।

এ মামলায় ১৬ অভিযুক্তের মধ্যে আটজন আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন৷ বাকি আট আসামি পলাতক রয়েছে৷ উপস্থিত আটজনকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান জিজ্ঞেস করেন তারা দোষ স্বীকার করছেন কি না। এ সময় ৭ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে, আরেক আসামি সাবেক উপপরিদর্শক শেখ আবজালুল হক দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন দেন। ট্রাইবুনাল তাকে লিখিতভাবে বেলা ২টার মধ্যে আবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালকে তিনি বলেন, আমি দোষ স্বীকার করছি। আমি স্বেচ্ছায় এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমার জানা সব পরিস্থিতি সম্পর্কে সত্য ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করতে ইচ্ছুক।

মামলায় অভিযুক্তদের আটজন বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারা হলেন- সাবেক সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এএসপি আব্দুল্লাহিল কাফি, সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দিন আব্দুল মালেক ও শেখ আবজালুল হক, সাবেক এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল মুকুল চোকদার। এই আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পলাতক অপর অভিযুক্তরা হলেন- সাভারের সাবেক আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান রিপন, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি এএফএম সাঈদ, পরিদর্শক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ সাহা ও কামরুল হাসান এবং সাবেক এমপি সাইফুলের সহযোগী রনি ভূঁইয়া।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.