হামিদুজ্জামান খানের স্মরণসভায় শিল্পকর্ম ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা

প্রখ্যাত ভাস্কর ও শিল্পী অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খানকে স্মরণে সামিট গাজীপুর ৪৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রাঙ্গণে ‘হামিদুজ্জামান ভাস্কর্য পার্ক’-এ এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

২০ জুলাই ২০২৫ ইন্তেকাল করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী। তাঁর কর্মময় জীবন ও শিল্প-সংস্কৃতিতে অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তাঁর সহধর্মিণী ভাস্কর আইভি জামান স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন, তিনি কীভাবে কঠোর পরিশ্রমে দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন।

বুধবার (২০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

স্মরণসভায় সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, “একদিন অফিসে ভাস্কর্য নিয়ে কথা হচ্ছিল, তখন তাঁর অনুপ্রেরণায়ই স্ক্র্যাপ ধাতু দিয়ে গড়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে বড় ‘হামিদুজ্জামান ভাস্কর্য পার্ক’। তিনি দিনরাত সেখানে কাজ করতেন, সৃষ্টি করতেন, শেখাতেন—শিল্প কীভাবে শ্রম থেকে জন্ম নেয়।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে পার্ক ঘুরে দেখান ভাস্কর আইভি জামান।

সভায় শিল্পী নিসার হোসেন, মাইনুল আবেদিন, নাসিমুল খবির ডিউক এবং ভাস্কর আইভি জামান অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খানের শিল্পীজীবন ও নতুন প্রজন্মের ওপর প্রভাব তুলে ধরেন।

সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম আখন্দ (অব.) অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।
সভা শেষে মুহাম্মদ আজিজ খান ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হামিদুজ্জামান খানের সহকর্মী, সহপাঠী, চারুকলা অনুষদ, নারায়ণগঞ্জ আর্ট কলেজ, ঢাকা আর্ট কলেজের শিক্ষার্থী, গ্যালারির সদস্য ও পরিবারের সদস্যরা।

এছাড়া পার্ক নির্মাণে যুক্ত সামিটের কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী হামিদুজ্জামান খান ১৯৭৬ সালে “রিমেমব্র্যান্স ৭১” সিরিজ শুরু করেন। তাঁর ভাস্কর্য কোরিয়ার সিউল অলিম্পিক পার্কসহ আন্তর্জাতিক স্থানে স্থান পেয়েছে।

স্নেহ ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মুহাম্মদ আজিজ খান ও অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খানের যৌথ প্রয়াসে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম ভাস্কর্য পার্ক, যেখানে রয়েছে ৮৬টি ভাস্কর্য এবং দেশের দীর্ঘতম ম্যুরাল।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.