পাকিস্তানে অতিবৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যায় ৭০০ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা ৬৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) আনাদুলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এর তথ্য অনুযায়ী, এ ব্যাপারে বার্তাসংস্থা আনাদোলু নিউজ জানিয়েছে, সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটেছে। গত ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া বর্ষার তাণ্ডবের পর, গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যায়, বিশেষত সোয়াবি, নোশেরা, মার্দান, এবং পেশোয়ার বিভাগগুলোতে। এতে করে ২৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

বিশেষ করে বুনের বিভাগের ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সেখানে অন্তত ২২২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বুনেরের বেশোনই গ্রাম গত শুক্রবার রাতে আকস্মিক বন্যার পানিতে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেখানে উদ্ধারকারীরা এখনও জীবিত মানুষ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অতিবৃষ্টির কারণে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু এবং অন্যান্য সম্পদ ভেসে গেছে। একদিকে প্রাণহানির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত পরবর্তী শুক্রবার সকালে আকস্মিক বন্যায় পরিণত হয়, যা মেঘ বিস্ফোরণের মাধ্যমে আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর মধ্যে ৩৪৯টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

আবহাওয়াবিদরা ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন এবং জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তাতার জানিয়েছেন যে, আক্রান্ত অঞ্চল থেকে ২৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং প্রায় এক হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.