জাতীয় ডেবিট কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করলো এনসিসি ব্যাংক

এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশের সম্মানিত গ্রাহকদের জন্য জাতীয় ডেবিট কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে এবং পুরোপুরি দেশীয় মধ্যস্থতায় পরিচালিত এই ডেবিট কার্ডটি আন্তর্জাতিক কার্ড সেবার একটি স্থানীয় বিকল্প হিসেবে কাজ করবে, যেমন ভিসা, মাস্টারকার্ড এবং অ্যামেক্স।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সম্প্রতি ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ঢাকা অঞ্চলের শাখা সমূহের ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভায় এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নূরুন নেওয়াজ সেলিম, ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. খোরশেদ আলম এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এ কার্ডটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এটি ন্যাশনাল পেমেন্ট স্কিম (এনপিএসবি) এর অধীনে ইস্যু করা একটি দেশীয় ডেবিট কার্ড, যা বাংলাদেশে লেনদেনকে আরো সহজ, সাশ্রয়ী ও সুরক্ষিত করবে। এই কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি টাকায় লেনদেন করতে পারবেন। এতে রয়েছে এনসিসি ব্যাংকের বিস্তৃত এটিএম নেটওয়ার্ক, কিউ-ক্যাশ এবং অন্যান্য এনপিএসবি নেটওয়ার্ক সম্বলিত এটিএম থেকে চার্জ ছাড়াই নগদ উত্তোলন করার সুবিধা। এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস) লেনদেনের সুবিধা পাওয়া যাবে এবং এক হাজারেরও বেশি সহযোগী মার্চেন্ট আউটলেটে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও অন্যান্য সুবিধাও মিলবে।

এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নূরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, “‘টাকা পে’ কার্ডটি এনসিসি ব্যাংকের সকল প্রকার সঞ্চয়ী হিসাবধারীর জন্য প্রযোজ্য, যেমন কনভেনশনাল ও ইসলামিক হিসাবধারীরা। এটি ব্যাংকের বিদ্যমান ভিসা ডেবিট কার্ডের পাশাপাশি চালু থাকবে এবং গ্রাহকদের দ্রুত ও সহজ লেনদেনের সুযোগ প্রদান করবে।”

এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন বলেন, “‘টাকা পে’ কার্ডটি শুধুমাত্র একটি কার্ড নয়, এটি জাতীয় গর্বের একটি প্রতীক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে স্বনির্ভর ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায়। এটি দেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়েও ভূমিকা রাখবে।”

‘টাকা পে’ কার্ডের উদ্বোধন বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.