জেলেনস্কিকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে এবং ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার শর্ত মানতে বললেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার শর্তগুলো মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে– ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি প্রথমে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন এবং পরে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুক্ত আলোচনায় অংশ নেবেন।

রোববার রাতে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন যে জেলেনস্কিকে ‘যুদ্ধ শেষের জন্য’ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সময় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও শান্তি চুক্তির সম্ভাব্য অগ্রগতির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, পুতিন এখন মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা গ্রহণে রাজি হয়েছেন এবং “ভূমি বিনিময়” সংক্রান্ত আলোচনায় কিছু ছাড় দিয়েছেন।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রোববার ফের জানান, তার দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “শান্তি শুধু এখন না, ভবিষ্যতের জন্যও স্থায়ী হতে হবে”।

ট্রাম্প বলেছেন, ওভাল অফিসে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পরই ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হবে। তার ভাষায়, হোয়াইট হাউসে এত ইউরোপীয় নেতা একসঙ্গে আগে কখনও আসেননি এবং এটি হবে “একটি বড় দিন”।

এদিকে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নেতারা জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামলে তারা কিয়েভে একটি “রিঅ্যাশিউরেন্স ফোর্স” মোতায়েন করতে প্রস্তুত। ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চয়তাকে স্বাগত জানিয়ে এটিকে “গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা” হিসেবে অভিহিত করেছেন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.