ইউরোপ ভ্রমণে পর্যটকদের ‘অবাধ্য’ আচরণে জন্য কড়া জরিমানা

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এ বছর ‘খারাপ আচরণকারী’ পর্যটকদের জন্য একের পর এক জরিমানার বিধান চালু করেছে। যেখানে খালি পায়ে গাড়ি চালানো, সৈকতের বাইরে সাঁতারের পোশাক পরা কিংবা নির্ধারিত নিয়ম না মানলেই গুণতে হতে পারে মোটা অঙ্কের অর্থদণ্ড।

তুরস্কের আন্তালিয়ায় বিমান নামার আগেই সিটবেল্ট খোলা বা উঠে দাঁড়ানোর মতো ছোট কাজেও ৬২ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। পর্তুগালের আলবুফেইরাতে সৈকতের বাইরে সাঁতারের পোশাক পরলে দেড় হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

স্পেনের ম্যালোর্কা, ইবিজা বা ম্যাগালুফে জনসমক্ষে মদ্যপান করলে গুণতে হতে পারে তিন হাজার ইউরো জরিমানা। এসব দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন কড়া অবস্থানে, এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের ধরতে সক্রিয় রয়েছে।

লন্ডনে স্প্যানিশ পর্যটন অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব নিয়ম পর্যটকদের দায়িত্বশীল আচরণে অভ্যস্ত করতে এবং স্থানীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

স্পেনের মালাগা শহরে পর্যটকদের জন্য ১০ দফা আচরণবিধি জারি করা হয়েছে। এতে আছে সম্মানজনক পোশাক, অতিরিক্ত শব্দ না করা, আবর্জনা না ফেলা এবং বেপরোয়া ই-স্কুটার ব্যবহার না করার নির্দেশনা।

ভ্রমণের সময় কীভাবে জরিমানা হতে পারে, তার কিছু দৃষ্টান্ত- স্পেন, গ্রীস, ফ্রান্স, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে চপ্পল বা খালি পায়ে গাড়ি চালালে ৩০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা। সৈকতের বাইরে সাঁতারের পোশাক পরলে এক হাজার ৫০০ ইউরো জরিমানা। জনসমক্ষে মদ্যপানে তিন হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা। গ্রীসে সমুদ্রসৈকত থেকে নুড়ি বা খোলস তুললে এক হাজার ইউরো জরিমানা। ভেনিসে খালে সাঁতার কাটলে ৩৫০ ইউরো জরিমানা।ইতালির সিনকে তেরতের ঢালে অনুপযুক্ত জুতা পরে উঠলে আড়াই হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এবং পরিবেশ-সংরক্ষণের লক্ষ্যে ইউরোপের নানা শহরে এসব বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের ভাষায়, পর্যটন যেন স্থানীয়দের বোঝা না হয়, সে দিকেই এখন নজর দেওয়া হচ্ছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.