যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন নজর রাখছে ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতিতে: মার্কো রুবিও

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এবং যুদ্ধবিরতির অবস্থা যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। একইসঙ্গে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ট্রাম্প পারমাণবিক উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

রোববার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, “যুদ্ধবিরতির জটিলতার একটি দিক হলো এটি ধরে রাখা, যা খুবই কঠিন। প্রতিদিন আমরা লক্ষ্য রাখি পাকিস্তান ও ভারতে কী ঘটছে।” তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধবিরতি কেবল তখনই সম্ভব, যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে সম্মত হয়। আর রাশিয়ানরা এখনো তাতে রাজি হয়নি।”

রুবিও মনে করেন, শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি হওয়া জরুরি, যাতে ভবিষ্যতেও সংঘাত না থাকে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি না কেউ এই লক্ষ্যে দ্বিমত করবে— আমাদের একটি স্থায়ী শান্তির দরকার।”

ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা সৌভাগ্যবান ও কৃতজ্ঞ যে আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন, যিনি শান্তি প্রতিষ্ঠাকে তার প্রশাসনের অগ্রাধিকার দিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে চার দিনব্যাপী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয় এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এই সংঘাতকে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বিবেচনা করা হয়। পরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

পাকিস্তান দাবি করে, এই সংঘাতে তারা অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি ছিল রাফাল জেট। ভারতের তরফে প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করা হলেও পরে তারা স্বীকার করে যে কিছু বিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল।

যদিও ট্রাম্প বারবার নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছেন, ভারত সরকার তাদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোনও ভূমিকা ছিল বলে স্বীকার করেনি। অন্যদিকে ইসলামাবাদ ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.