বাংলা ব্যান্ডের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের রক সংগীতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার অগ্রদূতদের একজন আইয়ুব বাচ্চু। আজ ১৬ আগস্ট উপমহাদেশের অন্যতম সেরা গিটারিস্ট, গিটারের জাদুকর খ্যাত এই কিংবদন্তি শিল্পীর ৬৪তম জন্মবার্ষিকী।

এই উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন।

বাংলাদেশে ব্যান্ডসংগীতের বিস্তার ও জনপ্রিয়তায় আইয়ুব বাচ্চুর অবদান অনন্য। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড এলআরবি–র মাধ্যমে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। তার হাত ধরে নব্বই দশকের তরুণ প্রজন্ম নতুনভাবে ব্যান্ডসংগীতকে চিনতে শুরু করেছিল।

‘ফেরারি মন’, ‘চলো বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘রূপালী গিটার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’—এসব গান সময় পেরিয়ে আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে সমানভাবে বাজে। বলা চলে, এগুলো ইতিমধ্যেই চিরসবুজ হয়ে উঠেছে।

শুধু ব্যান্ডসংগীত নয়, একক ক্যারিয়ারেও তিনি পেয়েছিলেন ব্যাপক সাফল্য। ‘রক্তগোলাপ’ দিয়ে শুরু, এরপর ‘ময়না’ অ্যালবাম তাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। আর ১৯৯২ সালে প্রকাশিত দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম এলআরবি ১ ও এলআরবি ২ এবং ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত সুখ অ্যালবাম তাকে নিয়ে যায় এক ভিন্ন উচ্চতায়।

আইয়ুব বাচ্চুর শিল্পীজীবন ছিল বহুমাত্রিক। আধুনিক গান, লোকগীতি, চলচ্চিত্রের গান—সব ক্ষেত্রেই রেখেছেন স্বকীয় ছাপ। ছিলেন কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক—একজন পূর্ণাঙ্গ সংগীতশিল্পী।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও তিনি ছিলেন সহজ-সরল ও সাধারণ মানুষের কাছাকাছি। জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি চাইতেন একজন ভালো মানুষ হিসেবে স্মরণীয় হতে। তাই তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শোকস্তব্ধ হয়েছিল গোটা দেশ।

আজও হাজারো ভক্ত তাকে স্মরণ করছেন নানা উপায়ে। তিনি শারীরিকভাবে নেই, তবুও তার গান, সুর আর সেই কিংবদন্তি রূপালী গিটার প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.