যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক শেষ হয়েছে। যদিও বৈঠকের কার্যকর ফলাফল এখনো জানা যায়নি। তবে, কূটনৈতিক সূত্রগুলোর দাবি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ১টা ৮ মিনিটে অ্যানকোরেজে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির বিমানবন্দরে পৌঁছান ট্রাম্প ও পুতিন। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের গাড়িতে চেপে বৈঠকের ভেন্যুতে যান রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক হয় তাদের মধ্যে।
এ বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আর পুতিনের সঙ্গে ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং পুতিনের সহকারী ও মুখপাত্র ইউরি উশাকভ।
বৈঠকের পর ট্রাম্প অবশ্য জানিয়েছেন, আলোচনায় ‘ভাল অগ্রগতি’ হয়েছে। শান্তিচুক্তি প্রসঙ্গে ইউক্রেন ও ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
অন্যদিকে বৈঠকের পর পুতিনের বক্তব্য, যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সংঘাত শুরুর বিষয়গুলো আগে দূরে সরাতে হবে। সেই সঙ্গে এ বৈঠক আমেরিকা ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে।
এ সময় যুদ্ধবিরতির জন্য ‘উদ্যোগী’ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন। হোয়াইট হাউজ ও ক্রেমলিন যৌথভাবে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ‘শর্ত’ হিসাবে ‘ভূমি বিনিময়’ (ল্যান্ড সোয়াপিং)-এর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল মস্কো। তবে শুক্রবারের বৈঠকের পরে বোঝা গেল, শান্তি নিয়ে স্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন শীর্ষ দুই নেতা।
যদিও এ বৈঠকের আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, একটি বৈঠকে স্থায়ী বা চূড়ান্ত সমাধান হবে না। দ্বিতীয় বৈঠক হবে। এবং সেটিই হবে ‘আসল গুরুত্বপূর্ণ’।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.